গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মীর বাসায় হামলা ভাঙচুর আহত ২ জন

হামলায় আহত মিজান আহমদ ও কিবরিয়া
শোভন আহমদ গোলাপগ্জ প্রতিনিধি : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার এর পদত্যাগ সুষ্ঠু নির্বাচন ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারুন্যের সমাবেশ ছিল বন্দর সাব রেজিস্ট্রার মাঠে। নাহিয়ান আহমদ সেই সমাবেশে অংশ নেয় এতে তার বাড়ির পাশের বাড়ি নেতা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাহেল সিরাজ এর নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত বিএনপির কর্মী নাহিয়ান আহমদকে পথরোধ করে  চড় থাপ্পড় কিল ঘুষি মেরে আহত করে। তার চিৎকারে তৎক্ষনাৎ বিএনপির নেতাকর্মী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঐদিন বিকালে নাহিয়ান আহমদ এর বাড়িতে গিয়ে তার নাম ধরে গালাগালি করে ও তার পরিবারের লোকজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে রাহেল সিরাজ ও তার অনুসারীরা । ঘটনার সময় নাহিয়ান আহমদ বাড়িতে না থাকায় তাহার বড় ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী মিজান আহমদ এবং চাচাত ভাই কিবরিয়া আহমদ এর প্রতিবাদ জানালে তারা তাদেরকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মেরে জখম করে। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশ হইতে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়, পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা হুমকি দিয়ে যায় আর যদি নাহিয়ান আহমদ বিএনপির কোন সমাবেশে যায় বা অনলাইনে সরকারের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তাহলে তাকে ও তার পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করবে। পরবর্তীতে ১১/০৯/২০২২ তারিখে সন্ত্রাসীরা নাহিয়ান আহমদ এর পিতার একমাত্র দোকানটিতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে নাহিয়ান আহমদ ও তার পরিবার জীবন হুমকির কারনে তারা অন্যত্র আত্মীয় বাসায় থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। 
থানায় অভিযোগ এর বিষয়ে নাহিয়ান আহমদ এর পিতার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। 

নাহিয়ান আহমদ গোলাপগঞ্জ উপজেলার কোনাচর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হকের ছোট ছেলে। সে ছোট বেলা থেকে বিএনপির রাজনীতি সাথে জড়িত। বর্তমানে সে শ্রীবহর ইউনিয়ন বিএনপির মানবতা বিষয়ক সম্পাদক এবং সক্রিয় কর্মী। শুধুমাত্র বিরোধী দলের রাজনীতি করায় তার এবং তার পরিবারের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নাহিয়ান আহমদ।

এ বিষয়ে গোলাপগন্জ থানার ওসিকে জিজ্ঞাসা করলে অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছেন। তবে কারা হামলা করেছে তিনি তা জানেন না। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments